Ramadan Mubarak

[ Ramadan Mubarak ]


Prepare for Ramadan 2024 with Our Free Ramadan Planner!
https://3.sv/azA
https://quransharif.net/pdf/Ramadan-Planner-2024.pdf

– ILM INSTITUTE [ https://iou.edu.gm ]
– International Open University [ https://iou.edu.gm ]


Keeping Healthy in Ramadan booklet 2012 English – Turkish
https://3.sv/1FY
https://quransharif.net/pdf/Keeping_Healthy_in_Ramadan_booklet_2012_English_-_Turkish.pdf

– The NHS website for England [ https://www.nhs.uk ]


Ramadan Mubarak
Ramadan Mubarak

পবিত্র রমজানের প্রতিদিনের নির্দিষ্ট দোয়াসহ রমজানের তাৎপর্য, উদ্দেশ্য ও রোজার নানা ধরনের কল্যাণকর দিক সম্পর্কে তুলে ধরবো।

আবারও ফিরে এসেছে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস পবিত্র রমজান।
এই মাস আত্মশুদ্ধির মাস এবং মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনসহ সারা জীবনের জন্য পাথেয় ও পরকালের সম্বল অর্জনের মাস।
জীবনকে উন্নত ও অর্থবহ করার প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্যও এই মাসের রোজাগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, এই মাসেই নাজিল হয়েছে পবিত্র কুরআন। এই মাসেই রয়েছে পবিত্র শবে ক্বদর বা লাইলাতুল ক্বাদর, আর ক্বাদরের রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের সমতুল্য।

পবিত্র রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন:
“হে মানুষ! নিঃসন্দেহে তোমাদের সামনে রয়েছে আল্লাহর বরকতপূর্ণ মাস। এ মাস বরকত,রহমত বা অনুগ্রহ ও ক্ষমার মাস। এ মাস মহান আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠ মাস। এ মাসের দিনগুলো সবচেয়ে সেরা দিন, এর রাতগুলো শ্রেষ্ঠ রাত এবং এর ঘণ্টাগুলো শ্রেষ্ঠ ঘণ্টা। এ মাস এমন এক মাস যে মাসে তোমরা আমন্ত্রিত হয়েছো আল্লাহর মেহমান হতে তথা রোজা রাখতে ও প্রার্থনা করতে। তিনি তোমাদেরকে এ মাসের ভেতরে সম্মানিত করেছেন। এ মাসে তোমাদের প্রতিটি নিঃশ্বাস মহান আল্লাহর গুণগান করার বা জিকরের (সওয়াবের) সমতুল্য; এ মাসে তোমাদের ঘুম প্রার্থনার সমতুল্য, এ মাসে তোমাদের সৎকাজ এবং প্রার্থনা বা দোয়াগুলো কবুল করা হবে। তাই মহান আল্লাহর কাছে আন্তরিক ও (পাপ ও কলুষতামুক্ত) পবিত্র চিত্তে প্রার্থনা করো যে তিনি যেন তোমাদেরকে রোজা রাখার এবং কোরআন তিলাওয়াতের তৌফিক দান করেন।”

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) আরো বলেছেন:
“নিঃসন্দেহে সে ব্যক্তি প্রকৃতই দুর্ভাগা বা হতভাগ্য যে রমজান মাস পেয়েও মহান আল্লাহর ক্ষমা হতে বঞ্চিত হয়। এ মাসে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার মাধ্যমে কিয়ামত বা শেষ বিচার দিবসের ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কথা স্মরণ কর। অভাবগ্রস্ত ও দরিদ্রদেরকে সাহায্য কর ও সদকা দাও। বয়স্ক ও বৃদ্ধদেরকে সম্মান কর এবং শিশু ও ছোটদেরকে আদর কর। (রক্তের সম্পর্কের) আত্মীয় স্বজনের সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ রক্ষা কর। তোমাদের জিহ্বাকে অন্যায্য বা অনুপযোগী কথা বলা থেকে সংযত রাখ, নিষিদ্ধ বা হারাম দৃশ্য দেখা থেকে চোখকে আবৃত রাখ,যেসব কথা শোনা ঠিক নয় সেসব শোনা থেকে কানকে নিবৃত রাখ। ইয়াতিমদেরকে দয়া কর যাতে তোমার সন্তানরা যদি ইয়াতিম হয় তাহলে তারাও যেন দয়া পায়।”

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বিশ্বনবী (সা.) আরো বলেছেন:
“রমজানে গোনাহর জন্যে অনুতপ্ত হও ও তওবা কর এবং নামাজের সময় মোনাজাতের জন্যে হাত উপরে তোলো,কারণ নামাজের সময় দোয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়,এ সময় মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান, এ সময় কেউ তাঁর কাছে কিছু চাইলে তিনি তা দান করেন, কেউ তাঁকে ডাকলে তিনি জবাব দেন,কেউ কাকতি-মিনতি করলে তার কাকতি মিনতি তিনি গ্রহণ করেন।

হে মানুষ! তোমরা তোমাদের বিবেককে নিজ কামনা-বাসনার দাসে পরিণত করেছো, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে একে মুক্ত করো। তোমাদের পিঠ গোনাহর ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে আছে,তাই সিজদাহগুলোকে দীর্ঘ করে পিঠকে হালকা করো। জেনে রাখ মহান আল্লাহ নিজ সম্মানের শপথ করে বলেছেন, রমজান মাসে নামাজ আদায়কারী ও সিজদাহ কারীদেরকে জবাবদিহিতার জন্য পাকড়াও করবেন না না এবং কিয়ামতের দিন তাদেরকে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করবেন।”

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বিশ্বনবী (সা.) আরো বলেছেন:
“হে মানুষেরা! তোমাদের মধ্যে কেউ যদি কোনো মুমিনের জন্য ইফতারের তথা দিনের রোজা শেষে যে খাদ্য গ্রহণ করা হয় তার আয়োজন করে তাহলে আল্লাহ তাকে একজন গোলামকে মুক্ত করার সওয়াব বা পুণ্য দান করবেন এবং তার অতীতের সব গোনাহ মাফ করবেন।” বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র সাহাবিরা প্রশ্ন করলেন: কিন্তু আমাদের মধ্যে তো সবাই অন্যদেরকে ইফতার দেয়ার সামর্থ্য রাখেন না।

বিশ্বনবী (সা.) বললেন: “তোমরা নিজেদেরকে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা কর, যদিও তা সম্ভব হয় একটি মাত্র খুরমার অর্ধেক অংশ কিংবা তাও যদি না থাকে তাহলে সামান্য পানি অন্য রোজাদারকে ইফতার হিসেবে আপ্যায়নের মাধ্যমে।”

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বিশ্বনবী (সা.) আরো বলেছেন:
‘যে রমজান মাসে (এ মাসের জন্য) নির্দেশিত বা নির্দিষ্ট ইবাদতগুলো করবে আল্লাহ তাকে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করবেন। যে এই মাসে ফরজ বা অবশ্য পালনীয় ইবাদত বা দায়িত্বগুলো পালন করবে তাকে অন্য মাসে ওই একই কাজের পুরস্কারের চেয়ে সাতগুণ বেশি পুরস্কার দেয়া হবে। যে রমজান মাসে আমার ওপর সালাওয়াত বা দরুদ পাঠাবে আল্লাহ বিচার দিবসে তার ভাল কাজের পাল্লা ভারী করে দেবেন,অথচ অন্যদের পাল্লা হাল্কা থাকবে।
যে এই মাসে পবিত্র কুরআনের মাত্র এক আয়াত তিলাওয়াত করবে আল্লাহ তাকে এর বিনিময়ে এত সওয়াব দেবেন যে তা অন্য মাসে পুরো কুরআন তিলাওয়াতের সমান হবে।’
FB -> সংগৃহীত

রোযা সম্পর্কিত আধুনিক মাসআলা-মাসায়েল

১. ইঞ্জেকশন নিলে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে কোনো কারণ ছাড়া রোযার কষ্ট লাঘবের জন্য গ্লুকোজ ইঞ্জেকশন বা স্যালাইন নেওয়া মাকরূহ। – জাওয়াহিরুল ফাতাওয়া ১/১৯

২. রক্ত দিলে ও রক্ত নিলে কোনো অবস্থাতেই রোযা ভাঙ্গবে না। তবে এত অধিক পরিমাণে রক্ত দেয়া যাবে না যাতে রোযা রাখতে কষ্ট হয়- মাকরূহ। শামী : ৩/৪০০, আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪২৫

৩. ইনসুলিন বা টিকা নিলে রোযা ভাঙ্গবে না। শামী : ৩/৩৬৭, ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা : পৃ: ৩২৭

৪. এনজিওগ্রাম করলে রোযা ভাঙ্গবে না। কেননা এনজিওগ্রাম বলা হয় হার্ট ব্লক হয়ে গেলে উরুর গোড়ার দিক দিয়ে কেটে একটি বিশেষ রগের ভিতর দিয়ে (যা হার্ট পর্যন্ত পৌঁছে) ক্যাথেটার ঢুকিয়ে ভালভাবে পরিক্ষা করা হয়।

৫. পেশাবের রাস্তা ও যোনিদ্বারে ওষুধ ব্যবহার করলে রোযা ভাঙ্গবে না । – ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা : পৃ : ৩২৭

৬. রোযা অবস্থায় মস্তিষ্ক অপারেশন করলে রোযা ভঙ্গ হবে না। চাই মস্তিষ্কে ওষুধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক, অথবা ওষুধ তরল হোক বা শক্ত। কেননা মস্তিষ্ক থেকে গলা পর্যন্ত সরাসরি কোনো রাস্তা নেই। তাই মস্তিষ্কে কোনো ওষুধ দিলে তা গালায় পৌঁছে না। -ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা : পৃ: ৩২২

৭. কানে ওষুধ, তেল ও পানি ইত্যাদি ঢুকালে রোযা ভঙ্গ হয় না। কেননা কান থেকে গলা পর্যন্ত কোনো রাস্তা নেই। উল্লেখ্য, আগের যুগে কান ও গলার মধ্যে সংযোগ আছে বলে ধারণা করা হতো বিধায় সে যুগের কিতাবাদিতে রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। -ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা : পৃ: ৩২২

৮. রোযা অবস্থায় অক্সিজেন গ্রহণ করা হলে যদি তার সাথে অন্য কোনো মেডিসিন থাকে তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি অন্য কোনো মেডিসিন না থাকে তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা : পৃ: ৩২৩

৯. এন্ডোসকপি করালে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে নলে বা বাল্বে মেডিসিন লাগানো হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা : পৃ: ৩২৪

১০. নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। এটি এ্যারোসল জাতীয় একটি ঔষধ। যা হার্টের রোগীগণ ২/৩ ফোটা জিহ্বার নিচে দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখেন। এতে ঔষধটি যদিও শিরার মাধ্যমে রক্তের সাথে মিশে যায়। এরপরও ঔষধের কিছু অংশ গলায় পৌঁছে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এর দ্বারা রোযা ভেঙ্গে যাবে। তবে ঔষধটি ব্যবহারের পর না গিলে থুথু দিয়ে ফেলে দিলে রোযা ভাঙ্গবে না। -ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা : পৃ: ৩২৫
১১. লেপারসকপি করলে অর্থাৎ পেট ছিদ্র করে সিক জাতীয় একটি মেশিন ঢুকিয়ে পেটের ভিতরের কোনো অংশ, গোস্ত ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য বের করে আনলে এতে রোযা ভাঙ্গবে না। তবে সিকের মধ্যে ঔষুধ লাগানো থাকলে এবং তা গলদ্বার থেকে মলদ্বার পর্যন্ত এর যে কোনো জায়গায় পৌঁছলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। -ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা : পৃ : 960

১২. ভেন্টোলিন ইনহেলার ব্যবহার করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য ওষুধটি মুখের ভিতর স্প্রে করা হয়। এতে যে জায়গায় শ্বাসরুদ্ধ হয় ঐ জায়গাটি প্রশস্ত হয়ে যায়। ফলে শ্বাস চলাচলে আর কোনো কষ্ট থাকে না। উল্লেখ্য, ওষুধটি যদিও স্প্রে করার সময় গ্যাসের মতো দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবে তা তরল ওষুধ। অতএব মুখের ভিতর স্প্রে করার দ্বারা রোযা ভেঙ্গে যাবে। হ্যাঁ, মুখে ইনহেলার স্প্রে করার পর না গিলে যদি থু থু দিয়ে তা বাহিরে ফেলে দেয়া হয়, তাহলে রোযা ভাঙ্গবে না। -ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসা : ৩২৩-২৪

১৩. ডুশ নিলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। কারণ ডুশ মলদ্বারের মাধ্যমে দেহের ভিতরে প্রবেশ করে। -শামী : ৩/৩৭৬

১৪. মলদ্বার দিয়ে নল ঢুকিয়ে কোন পরীক্ষা করালে যদি নলের সাথে মেডিসিন থাকে তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে, অন্যথায় ভাঙ্গবে না। -শামী : ৩/৩৬৯
যে সকল কারণে রোযা মাকরূহ হয়

★অপ্রয়োজনে কোনো কিছু চিবানো বা জিহ্বাতে লাগানো মাকরূহ। তবে বাচ্চার জন্য অনন্যোপায় হলে খানা চিবিয়ে দেওয়া বা স্বামী
★ রোযা রেখে এত বেশি পরিশ্রম করা যে, শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোযা রাখতে অনেক কষ্ট হয়, এটা মাকরূহ। বিদ্রূপ নিজের অধিনস্থ চাকর বা শ্রমিকদেরকে রোযা অবস্থায় অত্যধিক পরিশ্রম করানো উচিৎ নয়। শামী : ৩/৪০০

★স্ত্রীর ঠোঁট চোষা বা দাঁত দিয়ে কামড়ানো রোযাদারের জন্য মাকরূহ। – আলমগীরী : ১/২০

★. মুখে থুথু জমা করে তা গিলে ফেলা মাকরূহ। -আলমগীরী : ১/১৯৯

★ রোযা অবস্থায় ঝগড়া-বিবাদ করা, গালি-গালাজ করা, গীবত বা পরনিন্দা করা, টিভি-সিনেমা দেখা, গান-বাদ্য শ্রবণ করা ও যে কোনো কবীরা গুনাহ করার দ্বারা রোযা মাকরূহ হয়ে যায়। জাওয়াহিরুল ফিকহ :

★রোযা অবস্থায় দিনের বেলায় টুথ পাউডার, পেস্ট, মাজন, কয়লা ইত্যাদি ব্যবহার করা মাকরূহ। আর গলায় পৌঁছে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। ইমদাদুল ফাতাওয়া : ২/১৪১

★ রোযা অবস্থায় পান, গুল, জর্দা, তামাক ইত্যাদি মুখে নেওয়া মাকরূহ। এগুলোর স্বাদ গলায় অনুভূত হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা ও কাফ্ফারা উভয়টি ওয়াজিব হবে। -জাদীদ ফিকহী মাসায়েল : ১/১৯০

★ঠোঁটে লিপিস্টিক লাগালে যদি মুখের ভিতরে চলে যাওয়ার আশংকা হয় তাহলে মাকরূহ। -আহসানুল ফাতাওয়া : 8/8

-> সংগৃহীত


 

রোজার নিয়ত:
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
আরবি নিয়ত : নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
বাংলায় নিয়ত : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের নিয়ত:
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।
যে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আমল করবেন রমজানে:
রোজা রাখা – [সুরা বাকারা : ১৮৫]
জামায়াতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা – [সুরা নিসা : ১০৩]
সাহরি খাওয়া – [মুসলিম : ২৬০৪]
নিজে ইফতার করা এবং অন্যকে করানো – [আবু দাউদ : ২৩৫৭]
তারাবির নামাজ পড়া -[বুখারি : ২০০৯]
ইতিকাফ করা – [বুখারি : ২০৪৪]
লাইলাতুল কদর তালাশ করা – [সুরা কদর : ৪]
বেশি বেশি দান-সদকাহ করা – পুণ্য অর্জনের মাস রমজান। রোজা-নামাজ ইত্যাদির পাশাপাশি দান-সদকার মাধ্যমেও ফজিলত অর্জন করতে হবে। এ মাসে বেশি বেশি দান-সাদাকাহ করার চেষ্টা করতে হবে। এতিম, বিধবা ও গরীব-মিসকীনদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। যাদের উপর জাকাত ফরজ তা


সিয়াম পালনের ফযিলাত ও গুরুত্ব, রোযা সম্পর্কিত আধুনিক মাসআলা-মাসায়েল:

সিয়াম পালন করাঃ
ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি রুকন হল সিয়াম। আর রমাদান মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ। সেজন্য রমাদান মাসের প্রধান আমল হলো সুন্নাহ মোতাবেক সিয়াম পালন করা।
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ ﴾ [البقرة: ١٨٥]
“সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে, মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে” [সূরা আল-বাকারাহ : ১৮৫]
সিয়াম পালনের ফযিলাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ »
‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ইখলাস নিয়ে অর্থাৎ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রমাদানে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’’ [সহীহ বুখারী : ২০১৪]
«مَا مِنْ عَبْدٍ يَصُوْمُ يَوْمًا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ إِلاَّ بَاعَدَ اللهُ بِذَلِكَ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ سَبْعِيْنَ خَرِيْفًا»
‘‘যে কেউ আল্লাহর রাস্তায় (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য) একদিন সিয়াম পালন করবে, তাদ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে রাখবেন’’। [সহীহ মুসলিম : ২৭৬৭]

রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

সময় মত সালাত আদায় করাঃ
সিয়াম পালনের সাথে সাথে সময় মত নামায আদায় করার মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়।
কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,
﴿إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتۡ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ كِتَٰبٗا مَّوۡقُوتٗا ١٠٣ ﴾ [النساء: ١٠٣]
‘নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।’ [সূরা নিসা : ১০৩]
এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে,
«عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَقْرَبُ إِلَى الْجَنَّةِ قَالَ الصَّلَاةُ عَلَى مَوَاقِيتِهَا»
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! কোন আমল জান্নাতের অতি নিকটবর্তী? তিনি বললেন, সময় মত নামায আদায় করা। [সহীহ মুসলিম : ২৬৩]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

সহীহভাবে কুরআন শেখাঃ
রমাদান মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। এ মাসের অন্যতম আমল হলো সহীহভাবে কুরআন শেখা।
আল কুরআন শিক্ষা করা ফরয করা হয়েছে। কেননা কুরআনে বলা হয়েছে,
﴿ ٱقۡرَأۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلَّذِي خَلَقَ ١ ﴾ [العلق: ١]
‘‘পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন’’ [সূরা আলাক : ১]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন শেখার নির্দেশ দিয়ে বলেন,
« تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ ، وَاتْلُوهُ»
‘‘তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তিলাওয়াত কর’’ [মুসনাদ আলজামি : ৯৮৯০]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

অপরকে কুরআন পড়া শেখানোঃ
রমাদান মাস অপরকে কুরআন শেখানোর উত্তম সময়। এ মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সাহাবীদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতেন।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»
‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়’’ [সহীহ আল-বুখারী : ৫০২৭]
«مَنْ عَلَّمَ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ، كَانَ لَهُ ثَوَابُهَا مَا تُلِيَتْ»
‘যে আল্লাহর কিতাব থেকে একটি আয়াত শিক্ষা দিবে, যত তিলাওয়াত হবে তার সাওয়াব সে পাবে’ [সহীহ কুনুযুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ : ০৭]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

সাহরী খাওয়াঃ
সাহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে এবং সিয়াম পালনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
হাদীসে এসেছে,
«السُّحُورُ أَكْلَةٌ بَرَكَةٌ فَلاَ تَدَعُوهُ ، وَلَوْ أَنْ يَجْرَعَ أَحَدُكُمْ جَرْعَةً مِنْ مَاءٍ ، فَإِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ»
‘‘সাহরী হল বরকতময় খাবার। তাই কখনো সাহরী খাওয়া বাদ দিয়ো না। এক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরী খেয়ে নাও। কেননা সাহরীর খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন’’ [মুসনাদ আহমাদ : ১১১০১, সহীহ]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

সালাতুত তারাবীহ পড়াঃ
সালাতুত তারাবীহ পড়া এ মাসের অন্যতম আমল। তারাবীহ পড়ার সময় তার হক আদায় করতে হবে।
হাদীসে এসেছে,
« مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»
‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমাদানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবীহ) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’[সহীহ আল-বুখারী : ২০০৯]
তারাবীহ এর সালাত তার হক আদায় করে অর্থাৎ ধীরস্থীরভাবে আদায় করতে হবে। তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করা সুন্নাহ এর অন্তর্ভুক্ত।
হাদীসে আছে,
«إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَة»ٍ
‘‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে প্রস্থান করা অবধি সালাত আদায় করবে (সালাতুত তারাবীহ) তাকে পুরো রাত কিয়ামুল লাইলের সাওয়াব দান করা হবে’’ [সুনান আবূ দাউদ : ১৩৭৭, সহীহ]।
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করাঃ
এটি কুরআনের মাস। তাই এ মাসে অন্যতম কাজ হলো বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা।
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ ، وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا ، لاَ أَقُولُ الْم حَرْفٌ ، وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ»
‘‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ’’ [সুনান আত-তিরমিযী: ২৯১০, সহীহ]।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদান ব্যতীত কোন মাসে এত বেশি তিলাওয়াত করতেন না। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«وَلاَ أَعْلَمُ نَبِىَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِى لَيْلَةٍ وَلاَ صَلَّى لَيْلَةً إِلَى الصُّبْحِ وَلاَ صَامَ شَهْرًا كَامِلاً غَيْرَ رَمَضَانَ».
‘‘রমাদান ব্যতীত অন্য কোনো রাত্রিতে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত করতে, কিংবা ভোর অবধি সালাতে কাটিয়ে দিতে অথবা পূর্ণ মাস রোযা পালন করে কাটিয়ে দিতে দেখি নি’’ [সহীহ মুসলিম : ১৭৭৩]।
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

শুকরিয়া আদায় করাঃ
রমাদান মাস পাওয়া এক বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। সেজন্য আল্লাহ তা‘আলার বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা এবং আগামী রমাদান পাওয়ার জন্য তাওফীক কামনা করা।
রমাদান সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে,
﴿ وَلِتُكۡمِلُواْ ٱلۡعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمۡ وَلَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ١٨٥ ﴾ [البقرة: ١٨٥]
‘‘আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।’’[সূরা আলবাকারাহ : ১৮৫]
﴿وَإِذۡ تَأَذَّنَ رَبُّكُمۡ لَئِن شَكَرۡتُمۡ لَأَزِيدَنَّكُمۡۖ وَلَئِن كَفَرۡتُمۡ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٞ ٧ ﴾ [ابراهيم: ٧]
‘‘আর যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আজাব বড় কঠিন’।’’ [সূরা ইবরাহীম : ৭]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায় করে বলতে
« الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ »
অর্থাৎ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য [সুনান আত-তিরমিযী : ২৭৩৮]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

কল্যাণকর কাজ বেশি বেশি করাঃ
এ মাসটিতে একটি ভাল কাজ অন্য মাসের চেয়ে অনেক বেশি উত্তম। সেজন্য যথাসম্ভব বেশি বেশি ভাল কাজ করতে হবে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« وَيُنَادِى مُنَادٍ يَا بَاغِىَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِىَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلَّهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ »
‘‘এ মাসের প্রত্যেক রাতে একজন ঘোষণাকারী এ বলে আহবান করতে থাকে যে, হে কল্যাণের অনুসন্ধানকারী তুমি আরো অগ্রসর হও! হে অসৎ কাজের পথিক, তোমরা অন্যায় পথে চলা বন্ধ কর। (তুমি কি জান?) এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তায়ালা কত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন’’ [সুনান আত-তিরমিযী : ৬৮৪]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়াঃ
রমাদান মাস ছাড়াও সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়ার মধ্যে বিরাট সাওয়াব এবং মর্যাদা রয়েছে। রমাদানের কারণে আরো বেশি ফজিলত রয়েছে। যেহেতু সাহরী খাওয়ার জন্য উঠতে হয় সেজন্য রমাদান মাসে সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করার বিশেষ সুযোগও রয়েছে।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ »
‘‘ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল রাতের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত’’ [সহীহ মুসলিম : ২৮১২]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

বেশি বেশি দান-সদাকাহ করাঃ
এ মাসে বেশি বেশি দান-সাদাকাহ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ইয়াতীম, বিধবা ও গরীব মিসকীনদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ও বেশি বেশি দান খয়রাত করা। হিসাব করে এ মাসে যাকাত দেয়া উত্তম। কেননা রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি দান খয়রাত করতেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
«كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَجْوَدَ النَّاسِ بِالْخَيْرِ ، وَكَانَ أَجْوَدُ مَا يَكُونُ فِي رَمَضَانَ»
‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমাদানে তাঁর এ দানশীলতা আরো বেড়ে যেত’’ [সহীহ আল-বুখারী : ১৯০২]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করাঃ
রমাদান মাস নিজকে গঠনের মাস। এ মাসে এমন প্রশিক্ষণ নিতে হবে যার মাধ্যমে বাকি মাসগুলো এভাবেই পরিচালিত হয়। কাজেই এ সময় আমাদেরকে সুন্দর চরিত্র গঠনের অনুশীলন করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ يَوْمَئِذٍ وَلاَ يَسْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّى امْرُؤٌ صَائِمٌ»
‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোযা রাখে, সে যেন তখন অশস্নীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। রোযা রাখা অবস্থায় কেউ যদি তার সাথে গালাগালি ও মারামারি করতে আসে সে যেন বলে, আমি রোযাদার’’ [সহীহ মুসলিম : ১১৫১]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

ই‘তিকাফ করাঃ
ই‘তিকাফ অর্থ অবস্থান করা। অর্থাৎ মানুষদের থেকে পৃথক হয়ে সালাত, সিয়াম, কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইসতিগফার ও অন্যান্য ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার সান্নিধ্যে একাকী কিছু সময় যাপন করা। এ ইবাদাতের এত মর্যাদা যে, প্রত্যেক রমাদানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদানের শেষ দশ দিন নিজে এবং তাঁর সাহাবীগণ ই‘তিকাফ করতেন।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
« كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ فِي كُلِّ رَمَضَانَ عَشْرَةَ أَيَّامٍ فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ اعْتَكَفَ عِشْرِينَ يَوْمًا».
‘‘প্রত্যেক রমাযানেই তিনি শেষ দশ দিন ই‘তিকাফ করতেন। কিন্তু জীবনের শেষ রমযানে তিনি ইতিকাফ করেছিলেন বিশ দিন’’ [সহীহ আলবুখারী : ২০৪৪]। দশ দিন ই‘তেকাফ করা সুন্নাত।
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করাঃ
রমাদান মাস হচ্ছে দ্বীনের দাওয়াতের সর্বোত্তম মাস। আর মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকাও উত্তম কাজ। এজন্য এ মাসে মানুষকে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার জন্য আলোচনা করা, কুরআন ও হাদীসের দারস প্রদান, বই বিতরণ, কুরআন বিতরণ ইত্যাদি কাজ বেশি বেশি করা।
আলকুরআনের ঘোষণা :
﴿ وَمَنۡ أَحۡسَنُ قَوۡلٗا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٣ ﴾ [فصلت: ٣٣]
‘‘ঐ ব্যক্তির চাইতে উত্তম কথা আর কার হতে পারে যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, নেক আমল করলো এবং ঘোষণা করলো, আমি একজন মুসলিম’’ [সূরা হা-মীম সাজদাহ : ৩৩]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

সামর্থ্য থাকলে উমরা পালন করাঃ
এ মাসে একটি উমরা করলে একটি হাজ্জ আদায়ের সমান সাওয়াব হয়। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«قَالَ فَإِنَّ عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ تَقْضِي حَجَّةً مَعِي».
‘‘রমাদান মাসে উমরা করা আমার সাথে হাজ্জ আদায় করার সমতুল্য’’ [সহীহ আলবুখারী : ১৮৬৩]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

লাইলাতুল কদর তালাশ করাঃ
রমাদান মাসে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।
আল-কুরআনের ঘোষণা,
﴿ لَيۡلَةُ ٱلۡقَدۡرِ خَيۡرٞ مِّنۡ أَلۡفِ شَهۡرٖ ٣ ﴾ [القدر: ٣]
‘‘কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’’ [সূরা কদর : ৪]
হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ يَقُمْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ».
‘‘যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব পাওয়ার আশায় ইবাদাত করবে তাকে পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’’ [সহীহ আল-বুখারী : ৩৫]
এ রাত পাওয়াটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। এক হাদীসে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَجْتَهِدُ فِى الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مَا لاَ يَجْتَهِدُ فِى غَيْرِهِ».
‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য সময়ের তুলনায় রমদানের শেষ দশ দিনে অধিক হারে পরিশ্রম করতেন’’ [সহীহ মুসলিম : ১১৭৫]
লাইলাতুল কদরের দো‘আঃ
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, হে আল্লাহর নবী ! যদি আমি লাইলাতুল কদর পেয়ে যাই তবে কি বলব ?
তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন,
«اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى»
‘‘হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।’’ [সুনান আত-তিরমিযী : ৩৫১৩]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

বেশি বেশি দো‘আ ও কান্নাকাটি করাঃ
দো‘আ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। এজন্য এ মাসে বেশি বেশি দো‘আ করা ও আল্লাহর নিকট বেশি বেশি কান্নাকাটি করা।
হাদীসে এসেছে,
«إِنَّ للهِ تَعَالَى عِنْدَ كُلِّ فِطْرٍ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ، وَذَلِكَ كُلّ لَيْلَةٍ»
‘‘ইফতারের মূহূর্তে আল্লাহ রাববুল আলামীন বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। মুক্তির এ প্রক্রিয়াটি রমাদানের প্রতি রাতেই চলতে থাকে’’ [আল জামিউস সাগীর : ৩৯৩৩]
অন্য হাদীসে এসেছে,
«إِنَّ للهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى عُتَقَاء فِيْ كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ وَإِنَّهُ لِكُلِّ مُسْلِمٍ فِيْ كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ دَعْوَة مُسْتَجَابَة»
‘‘রমযানের প্রতি দিবসে ও রাতে আল্লাহ তা‘আলা অনেককে মুক্ত করে দেন। প্রতি রাতে ও দিবসে প্রতি মুসলিমের দো‘আ কবূল করা হয়’’ [সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব : ১০০২]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

ইফতার করাঃ
সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা বিরাট ফজিলাতপূর্ণ আমল। কোন বিলম্ব না করা ।
কেননা হাদীসে এসেছে,
« إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ صَائِمًا فَلْيُفْطِرْ عَلَى التَّمْرِ فَإِنْ لَمْ يَجِدِ التَّمْرَ فَعَلَى الْمَاءِ فَإِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ »
‘‘যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে, সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে, খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে। কেননা পানি হলো অধিক পবিত্র ’’ [সুনান আবু দাউদ : ২৩৫৭, সহীহ]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন :
« ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ».
“পিপাসা নিবারিত হল, শিরা উপশিরা সিক্ত হল এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কারও নির্ধারিত হল।” [সুনান আবূ-দাউদ: ২৩৫৯, সহীহ]
অপর বর্ণনায় যে এসেছে
«اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ »
“হে আল্লাহ! তোমার জন্য রোযা রেখেছি, আর তোমারই রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।” [সুনান আবু দাউদ :২৩৫৮] এর সনদ দুর্বল। আমাদের উচিত সহীহ হাদীসের উপর আমল করা।
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

ইফতার করানোঃ
অপরকে ইফতার করানো একটি বিরাট সাওয়াবের কাজ। প্রতিদিন কমপক্ষে একজনকে ইফতার করানোর চেষ্টা করা দরকার।
কেননা হাদীসে এসেছে,
«مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِمْ ، مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْء. »
‘‘যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে তার সমপরিমাণ সাওয়াব লাভ করবে, তাদের উভয়ের সাওয়াব হতে বিন্দুমাত্র হ্রাস করা হবে না’’ [সুনান ইবন মাজাহ : ১৭৪৬, সহীহ]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

তাওবাহ ও ইস্তেগফার করাঃ
তাওবাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ ফিরে আসা, গুনাহের কাজ আর না করার সিদ্ধান্ত নেয়া। এ মাস তাওবাহ করার উত্তম সময়। আর তাওবাহ করলে আল্লাহ খুশী হন।
আল-কুরআনে এসেছে,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ تُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ تَوۡبَةٗ نَّصُوحًا عَسَىٰ رَبُّكُمۡ أَن يُكَفِّرَ عَنكُمۡ سَيِّ‍َٔاتِكُمۡ وَيُدۡخِلَكُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ﴾ [التحريم: ٨]
‘‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর, খাটি তাওবা; আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদেরকে এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত’’ [সূরা আত-তাহরীম : ৮]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
« يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلَى اللَّهِ فَإِنِّى أَتُوبُ فِى الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرَّةٍ ».
‘‘হে মানবসকল! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ এবং ক্ষমা প্রার্থনা কর, আর আমি দিনে তাঁর নিকট একশত বারের বেশি তাওবাহ করে থাকি’’ [সহীহ মুসলিম : ৭০৩৪]
তবে তাওবাহ ও ইস্তেগফারের জন্য উত্তম হচ্ছে, মন থেকে সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার পড়া, আর তা হচ্ছে,
«اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُك وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ»
‘‘হে আল্লাহ, তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া প্রকৃত এবাদতের যোগ্য কেউ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আর আমি তোমার গোলাম আর আমি সাধ্যমত তোমার সাথে কৃত অঙ্গীকারের উপর অবিচল রয়েছি। আমার কৃত-কর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমাকে যত নেয়ামত দিয়েছে সেগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করছি। যত অপরাধ করেছি সেগুলোও স্বীকার করছি। অত:এব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার কেউ নেই।’’
ফযিলাত: ‘‘যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলা এই দু‘আটি (সাইয়েদুল ইসতিগফার) পাঠ করবে ঐ দিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মৃত্যু বরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে এবং যে কেউ ইয়াকিনের সাথে রাত্রিতে পাঠ করবে ঐ রাত্রিতে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে।’’ [সহীহ আল-বুখারী : ৬৩০৬]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

তাকওয়া অর্জন করাঃ
তাকওয়া এমন একটি গুণ, যা বান্দাহকে আল্লাহর ভয়ে যাবতীয় পাপকাজ থেকে বিরত রাখে এবং তাঁর আদেশ মানতে বাধ্য করে। আর রমাদান মাস তাকওয়া নামক গুণটি অর্জন করার এক বিশেষ মৌসুম।
কুরআনে এসেছে,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ١٨٣ ﴾ [البقرة: ١٨٣]
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে করে তোমরা এর মাধ্যমে তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো’’ [সূরা আলবাকারাহ : ১৮৩]
﴿ۚ وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مَخۡرَجٗا ٢ ﴾ [الطلاق: ٢]
যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরী করে দেন। [সূরা তালাক : ০২]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মাসজিদে অবস্থান করা
ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত মাসজিদে অবস্থান করা। এটি একটি বিরাট সাওয়াবের কাজ।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ صَلَّى الغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : تَامَّةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ»
যে ব্যক্তি ফজর জামাআত আদায় করার পর সূর্য উদয় পর্যন্ত মাসজিদে অবস্থান করবে, অতঃপর দুই রাকাআত সালাত আদায় করবে, সে পরিপূর্ণ হাজ্জ ও উমারাহ করার প্রতিদান পাবে। [সুনান আত-তিরমিযী : ৫৮৬]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

ফিতরাহ দেয়াঃ
এ মাসে সিয়ামের ত্রুটি-বিচ্যুতি পূরণার্থে ফিতরাহ দেয়া আবশ্যক।
ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِزَكَاةِ الْفِطْرِ قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ».
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাত আদায়ের পুর্বে ফিতরাহ আদায় করার আদেশ দিলেন। [সহীহ আল-বুখারী :১৫০৩]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

অপরকে খাদ্য খাওয়ানোঃ
রমাদান মাসে লোকদের খাওয়ানো, বিশেষ করে সিয়াম পালনকারী গরীব, অসহায়কে খাদ্য খাওয়ানো বিরাট সাওয়াবের কাজ ।
কুরআনে এসেছে,
﴿ وَيُطۡعِمُونَ ٱلطَّعَامَ عَلَىٰ حُبِّهِۦ مِسۡكِينٗا وَيَتِيمٗا وَأَسِيرًا ٨ ﴾ [الانسان: ٨]
অর্থ: তারা খাদ্যের প্রতি আসক্তি থাকা সত্ত্বেও মিসকীন, ইয়াতীম ও বন্দীকে খাদ্য দান করে। [সূরা আদ-দাহর: ৮]
এ বিষয়ে হাদীসে বলা হয়েছে,
«عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَجُلاً سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ قَالَ:«تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ ، وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ».
‘‘আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, একজন লোক এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইসলামে উত্তম কাজ কোনটি? তিনি বললেন, অন্যদেরকে খাবার খাওয়ানো এবং পরিচিত ও অপরিচিত সকলকে সালাম দেয়া’’ [সহীহ আল-বুখারী : ১২]
অপর বর্ণনায় বর্ণিত আছে যে,
«أَيُّمَا مُؤْمِنٍ أَطْعَمَ مُؤْمِنًا عَلَى جُوعٍ أَطْعَمَهُ اللهُ مِنْ ثِمَارِ الْجَنَّةِ»
‘‘যে কোনো মুমিন কোনো ক্ষুধার্ত মুমিনকে খাওয়াবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। [বাইহাকী, শু‘আবুল ইমান : ৩০৯৮, হাসান]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

আত্মীয়তার সম্পর্ক উন্নীত করাঃ
আত্মীয়তার সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর তা রক্ষা করাও একটি ইবাদাত।
এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ ٱلَّذِي تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلۡأَرۡحَامَۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيۡكُمۡ رَقِيبٗا ١ ﴾ [النساء: ١]
‘‘আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চাও। আরও তাকওয়া অবলম্বন কর রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক। [সূরা আন-নিসা: ১
আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«بُلُّوا أَرْحَامَكُمْ وَلَوْ بِالسَّلَامِ»
“সালাম বিমিয়ের মাধ্যমে হলেও আত্নীয়তার সম্পর্ক তরতাজা রাখ।” [সহীহ কুনুযুস সুন্নাহ আন-নবওয়িয়্যাহ : ১৩]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

কুরআন মুখস্থ বা হিফয করাঃ
কুরআন হিফয করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা নিজেই কুরআন হিফযের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি এ দায়িত্ব মূলত বান্দাদেরকে কুরআন হিফয করানোর মাধ্যমেই সম্পাদন করেন।
কুরআনে এসেছে,
﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [الحجر: ٩]
‘‘নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি, আর আমিই তার হিফাযতকারী’’ -[সূরা আল-হিজর: ৯]
যে যত বেশি অংশ হিফয করতে পারবে তা তার জন্য ততই উত্তম।
আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِى الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا ».
‘‘কুরআনের ধারক-বাহককে বলা হবে কুরআন পড়ে যাও, আর উপরে উঠতে থাক, ধীর-স্থিরভাবে তারতীলের সাথে পাঠ কর, যেমন দুনিয়াতে তারতীলের সাথে পাঠ করতে। কেননা জান্নাতে তোমার অবস্থান সেখানেই হবে, যেখানে তোমার আয়াত পড়া শেষ হবে” -[সুনান আত-তিরমিযী : ২৯১৪]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

আল্লাহর যিকর করাঃ
এ মাসে বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করা ও তাসবীহ পাঠ করা।
সময় পেলেই
سبحان الله ، الحمدلله ، لا إله إلا الله ، الله أكبر পড়া।
এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى مِنَ الْكَلاَمِ أَرْبَعًا : سُبْحَانَ اللهِ ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ ، فَمَنْ قَالَ : سُبْحَانَ اللهِ ، كُتِبَ لَهُ عِشْرُونَ حَسَنَةً ، وَحُطَّتْ عَنْهُ عِشْرُونَ سَيِّئَةً ، وَمَنْ قَالَ : اللَّهُ أَكْبَرُ فَمِثْلُ ذَلِكَ ، وَمَنْ قَالَ : لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَمِثْلُ ذَلِكَ ، وَمَنْ قَالَ : الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ مِنْ قِبَلِ نَفْسِهِ كُتِبَ لَهُ ثَلاَثُونَ حَسَنَةً وَحُطَّتْ عَنْهُ ثَلاَثُونَ سَيِّئَةً»
অর্থ: ‘‘আল্লাহ তা’আলা চারটি বাক্যকে বিশেষভাবে নির্বাচিত করেছেন, তাহলো سبحان الله ، الحمدلله ، لا إله إلا الله ، الله أكبر যে ব্যক্তি سبحان الله পড়বে, তার জন্য দশটি সাওয়াব লেখা হয়, আর বিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি الله أكبر পড়বে, তার জন্য বিশটি সাওয়াব লেখা হয়, আর বিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়। যে ব্যক্তি لا إله إلا الله পড়বে, তার জন্য বিশটি সাওয়াব লেখা হয়, আর বিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি আন্তরিকভাবে الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ পড়বে, তার জন্য ত্রিশটি সাওয়াব লেখা হয়, আর ত্রিশটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়’’। [মুসনাদ আহমাদ : ১১৩৪৫]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

মিসওয়াক করাঃ
মেসওয়াকের প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।
হাদীসে এসেছে,
«السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ»
অর্থাৎ মেসওয়াক মুখের জন্য পবিত্রকারী, এবং রবের সন্তুষ্টি আনয়নকারী। [সহীহ ইবন খুযাইমাহ : ১৩৫] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা রেখেও মেসওয়াক করতেন বলে বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়।
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

একজন অপরজনকে কুরআন শুনানোঃ
রমাদান মাসে একজন অপরজনকে কুরআন শুনানো একটি উত্তম আমল। এটিকে দাওর বলা হয়।
ইবনে আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
« وَكَانَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ يَلْقَاهُ كُلَّ لَيْلَةٍ فِي رَمَضَانَ حَتَّى يَنْسَلِخَ يَعْرِضُ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْقُرْآنَ »
জিবরাইল আলাইহিস সালাম রমাদানের প্রতি রাতে রমাদানের শেষ পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং রাসূল তাকে কুরআন শোনাতেন। [সহীহ আল-বুখারী : ১৯০২]
ইবনে হাজার রাহেমাহুল্লাহ্ বলেন : জিবরাইল প্রতি বছর রাসূলের সাথে সাক্ষাৎ করে এক রমযান হতে অন্য রমযান অবধি যা নাযিল হয়েছে, তা শোনাতেন এবং শুনতেন। যে বছর রাসূলের অন্তর্ধান হয়, সে বছর তিনি দু বার শোনান ও শোনেন ।
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

কুরআন বুঝা ও আমল করাঃ
কুরআনের এ মাসে কুরআন বুঝা ও আমল করা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। কুরআন অনুযায়ী নিজের জীবনকে গড়ে তোলা।
এ বিষয়ে কুরআনে নির্দেশ দেয়া হয়েছে,
﴿ٱتَّبِعُواْ مَآ أُنزِلَ إِلَيۡكُم مِّن رَّبِّكُمۡ وَلَا تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَۗ قَلِيلٗا مَّا تَذَكَّرُونَ ٣ ﴾ [الاعراف: ٣]
‘তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা অনুসরণ কর এবং তাকে ছাড়া অন্য অভিভাবকের অনুসরণ করো না। তোমরা সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর’ -[সূরা আল-আ‘রাফ : ৩]
কুরআনের জ্ঞানে পারদর্শী আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
«كُنَّا نَتَعَلَّمُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَ آيَاتٍ فَمَا نَعْلَمُ الْعَشْرَ الَّتِي بَعْدَهُنَّ حَتَّى نَتَعَلَّمَ مَا أُنْزِلَ فِي هَذِهِ الْعَشْرِ مِنَ الْعَمَلِ»
‘আমরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কুরআনের দশটি আয়াত শিক্ষা গ্রহণ করতাম, এরপর ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা পরবর্তী দশটি আয়াত শিক্ষা করতাম না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা এই দশ আয়াতের ইলম ও আমল শিখতাম’ [শরহে মুশকিলুল আছার : ১৪৫০]
রোজার গুরুত্বঃ
রাসুল (সাঃ) বলেছন রমজান মাসে আমার উম্মত কে পাঁচটি নিয়ামত দান করা হয়েছে যা আগের উম্মতকে দেওয়া হয়নি –
(১) রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত।
(২) ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।
(৩) রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।
(৪) শয়তানকে বন্দি করা হয়।
(৫) রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়।

 


YouTube Videos: