বিনয় ও মহত্ত্ব

0
702
বিনয় ও মহত্ত্ব সম্পর্কে
২০৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ আদম (আ) কে তার স্বীয় আকৃতিতে সৃষ্টি করেন। তার দৈর্ঘ্য ছিল ষাট গজ। তারপর আল্লাহ্‌ তাকে বললেন, “যাও এবং ফেরেশতাদের যে সম্প্রদায় বসে আছে তাদেরকে সালাম কর এবং মনোযোগ দিয়ে শুন তারা তোমাকে কি অভিবাদন জানায়। কেননা, এটাই হবে তোমার ও তোমার সন্তান-সন্ততিদের পরসপরের অভিবাদন পদ্ধতি। অতঃপর তিনি গেলেন এবং বললেন, “আসসালামু আ’লাইকুম”। প্রত্যুত্তরে তাঁরা বললেন, “আসসালামু আ’লাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ্‌”। সুতরাং ফেরেশতাগণ ওয়া রহমাতুল্লাহ বাড়িয়ে দিলেন। এতএব, যারা বেহেশতে প্রবেশ করবে, তারা আদমের চেহারা বিশিষ্ট এবং ষাট গজ লম্বা হবে। তারপর থেকে সৃষ্ট মানুষের দেহ আকারে ছোট হতে লাগল, এমনকি তা বর্তমান পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।”

এ হাদীসটি আহমদ ও শায়খাইন হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

২০৮. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- পৃথিবীতে যে নিজেকে উচ্চ মনে করে কেয়ামতের দিন আল্লাহ্‌ তাকে নীচু করবেন। তার পৃথিবীতে যে আল্লাহর সামনে নম্রতা অবলম্বন করে, কেয়ামতের দিন তিনি তাকে পূর্ণ জীবন দান করে সামনে নিয়ে আসবেন এবং সমবেতদের মধ্য থেকে তাকে বাছাই করে নেবেন এবং বলবেন, “হে আমার উত্তম বান্দা!” মহান ও মর্যাদাশালী আল্লাহ সেদিন সেদিন বলতে থাকবেন, “আমার নিকটবর্তী হও, আমার নিকটবর্তী হও, নিশ্চয় তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত, যাদের কোন ভয় নেই এবং যাদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।”

ইবনে আসাকির এ হাদীসটি হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

২০৯.রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ প্রত্যেক দিন বলেন, “আমি তোমাদের পরাক্রমশালী প্রভু। এতএব, যে লোক দোজাহানের মঙ্গল কামনা করে, সে যেন সর্বশক্তিমানের অনুগত হয়ে চলে।”

দায়লামী এ হাদীসটি হযরত আনাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

২১০.রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও প্রতাপশালী আল্লাহ্‌ বলেন, “আমার নিকটে যে লোক এরূপ ভাবে নম্রতা প্রকাশ করে, আমি তাকে এরূপে উন্নতী করি।”

আহমদ এ হাদীসটি হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

২১১. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই কেয়ামতের দিন সুমহান আল্লাহ বলবেন, “আমি তোমাদেরকে কাজ করার হুকুম করেছিলাম এবং তোমাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম কিন্তু তোমরা তা নষ্ট করে দিয়েছ, আর তোমরা নিজ বংশীয় সম্পর্ককে শ্রেষ্ঠ বস্তু মনে করেছ। এতএব, আজ আমি আমার পরিচয় ও মর্যাদা উচ্চ করব এবং তোমাদের বংশ মর্যাদাকে নীচু করব। সংযমশীল ব্যক্তিগণ কোথায়? তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম পরহেযগার ব্যক্তি আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠতর।”

হাকেম এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

২১২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্‌ বলেছেন, “যে লোক আমার অধিকারের বিষয়ে বিনয় প্রকাশ করে ( বা আমার উদ্দেশে নম্রতা প্রদর্শন করে) এবং আমার সামনে বিনয় প্রকাশ করে, আর আমার দুনিয়ায় তাকাব্বুর (অহংকার) করে না, আমি তাকে উন্নত করতে থাকি; এমন কি শেষ পর্যন্ত তাকে আমি ইল্লীনে পৌঁছে দেব।”

আবূ নূয়াইম এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।