হারাম (অবৈধ) ও মাকরূহ (অপছন্দনীয়) বিষয় সম্পর্কে
২৯০. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহ্ মদপ্যকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় দেখতে পাবেন। সুমহান আল্লাহ বলবেন, “তোমার জন্য আফসোস! তুমি কি পান করেছিল?” প্রত্তুতরে সে বলবে, “মদ পান করেছিলাম।” আল্লাহ বলবেন, “আমি কি তোমার জন্য তা হারাম (অবৈধ) করিনি?” সে বলবে ‘হ্যাঁ’, অতঃপর তাকে দোযখে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে।
২৯১. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ বলেন, “(পর নারীর প্রতি) প্রথমবার দৃষ্টিফেলা তোমার জন্য বৈধ, কিন্তু দ্বিতীয়বার তাকানোর পরিণামফল কি হবে?”
২৯২. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ বলেছেন, “আমার বান্দাদেরকে বিকলাঙ্গ করো না।”
দাইয়্যুস বা বেহায়ার দুর্ভাগ্য
২৯৩. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ তিনটি বস্তু ছাড়া আর কিছু সরাসরি নিজ হাতে সৃষ্টি করেননি। তিনি সমুদয় বস্তুকে বলেছেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে গেছে। আল্লাহ্ যখন আদম ও ফিরদাউসকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং ফিরদাউসকে বলেছেন; আমার ইযযত ও জালালের কসম! তোমার মধ্যে কেন বখীল (কৃপণ) আমার সান্নিধ্যে বাস করতে পারবে না। আর কোন দইয়্যুস বা বেহায়া লোক তোমার সৌরভ পাবে না।”
শয়তানের অনুগত্য মুক্ত ব্যক্তির পুরস্কার
২৯৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- যখন কেয়ামতের দিন এসে যাবে, তখন মহান ও প্রতাপশালী আল্লাহ্ বললেন, “কোথায় তারা যারা তাদের চোখ ও কানকে শয়তানের আনুগত্য (গান-বাদ্য) থেকে পবিত্র রেখেছিল? তাদেরকে পৃথক কর?” তখন ফেরেশতারা তাদেরকে মেশক ও আম্বরের স্তুপের উপর পৃথক করবেন। অতঃপর তিনি ফেরেশতাদেরকে বলবেন, “তাদেরকে আমার পবিত্রতা ও মর্যাদার গুন কীর্তন শুনাও।” তারা তাদেরকে এরূপ আওয়াজ শুনাবে – যার অনুরূপ সুর কোন শ্রোতা কখনও শুনেনি।”
পাপের কারণে আকৃতি পরিবর্তন
২৯৫. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই সুমহান আল্লাহ্ অনেক জীবের আকৃতি পরিবর্তন করবেন। আর মানুষ যখন কোন একটি পাপে আত্ননিয়োগ করে, অনন্তর আল্লাহ্ বলেন, “সে আমার প্রতি বিদ্রূপ করেছে।” তারপর আল্লাহ্ তার অবয়াবাকার পরিবর্তন করে দেন। অতঃপর কেয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাকে মানুষ রূপে পুনজীবন দান করবেন।”