তাসবীহ-তাহলীল

0
921
আল্লাহর তাসবীহ-তাহলীল সম্পর্কে
১০১. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- আমার রব আমাকে খবর দিয়েছেন, অতি সত্বর আমি একটি নিদর্শন দেখতে পাব। অতঃপর আমি যখন তা দেখব তখন আমি যেন ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি ওয়াস্‌তাগ ফিরুল্লাহি ওয়া আতুবু ইলায়হি, কথাটি খুব বেশি বেশি আওড়াতে থাকি। অতঃপর আমি তা দেখেছি। যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় অর্থাৎ মক্কা বিজয়ের দিন এল, তখন তুমি (হে মুহাম্মদ!) দলে দলে লোকদেরকে আল্লাহর ধর্মে প্রবেশ করতে দেখেছ। এতএব, তোমার রবের হামদ বা প্রশংসাজ্ঞাপক তাসবীহ পাঠ কর এবং তার কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় তিনি তওবা কবুলকারী।”

মুসলিম এ হাদীসটি হযরত আয়েশা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

১০২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- বান্দা যখন বলে- ‘সুবহানাল্লাহ্‌ ’ আল্লাহ্‌ বলেন, “আমার বান্দা আমার পবিত্রতা ও প্রশংসায় সত্যারোপ করেছে। পবিত্রতা আমি ভিন্ন আর কারো হতে পারে না।”

দায়লামী এ হাদীসটা হযরত আবুদ্‌ দারদা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

১০৩. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- যে লোক বলে, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি, ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি’ তার সম্পর্কে’ আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দা আমার নিকট আত্নসমর্পন করেছে এবং আমার অনুগত হয়েছে।”

এ হাদীসটি হাকেম হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

১০৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কোন বান্দা যখন স্বীয় বিছানায় কিংবা মাটিতে তার শোয়ার স্থানে শয়ন করে, অতঃপর কোন রাতে তার ডানে অথবা বামে পাশ ফিরে তারপর বলে, “আশহাদু আল্‌ লা-ইলাহা ইল্লাহল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা- শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইউহ্‌য়ী ওয়াইউমীতু ওয়াহুয়া হাইয়্যন লা ইয়ামূত, বিয়াদিহিল খায়রু ওয়াহুয়া আ’লা কুল্লি শাইয়্যিন কাদীর” তখন মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ্‌ তার ফেরেশতাগণকে বলেন, “তোমরা আমার বান্দার প্রতি লক্ষ্য কর – এ অবস্থায়ও সে আমাকে ভুলেনি। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রাখছি, আমি তার প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ করেছি।”

ইবনুস সুন্নী এ হাদীসটি আনাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

১০৫. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ্‌ বলেন, “(হে মুহাম্মদ!) তোমার উম্মতকে বলে দাও, তারা যেন সকালে দশবার, সন্ধ্যায় দশবার এবং ঘুমানোর সময় দশবার ‘লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ পাঠ করে। এটা তাদেরকে ঘুমানোর সময় পার্থিব বিপদ থেকে, বিকালে শয়তানের প্রবঞ্চনা থেকে এবং সকালে আমার নিকৃষ্ট গযব থেকে রক্ষা করবে।”

দায়লামী এ হাদীসটি হযরত আবূবকর (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।

১০৬. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই সুমহান আল্লাহ্‌ বান্দার প্রতি খুবই খুশী হন, যখন সে বলে, ‘লা-ইলাহা ইল্লা আনতা ইন্নী কাদ জালামতু নাফসী ফাগফিরলী যনূবী, ইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুর্য যুনূবা ইল্লা আনতা’ (আল্লাহ) তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, অবশ্যই আমি আমার নিজের প্রতি জুলুম করেছি, আমায় ক্ষমা করুন, তুমি ছাড়া কেউ পাপ মার্জনা করতে পারবে না। ‘আল্লাহ্‌ বলেন, ‘আমার বান্দা বুঝতে পেরেছে যে, তার একজন রব (প্রতিপালক) আছেন, তিনি তাকে মার্জনা করেন ও শাস্তি দেন।”

ইবনুস-সুন্নী এ হাদীসটি হযরত আলী (রা)-থেকে সংগ্রহ করেছেন।

১০৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-নিশ্চয় ইবরাহীম (আ) তাঁর রবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন এবং বলেছিলেন, “ইয়া রব! যে লোক তোমার হামদ বা প্রশংসা করে, তার পুরস্কার কি? তিনি বললেন, “হামদ বা প্রশংসা কৃতজ্ঞতার চাবি; তার কৃতজ্ঞতা তা নিয়ে পরওয়ারদেগারে আলমের আরশ পর্যন্ত আরোহণ করে।” তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, “যে তোমার তাসবীহ বা গৌরব বর্ণনা করে, তার পুরস্কার কি?” তিনি বললেন, “তাসবীহের রহস্য পরওয়ারদেগারে আলম ছাড়া আর কেউ জানেনা।”

দায়লামী এ হাদীসটি হযরত আনাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।